বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের লিফট যেন মৃত্যুফাঁদ 

  • প্রতিনিধি, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৫:১১

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, সকালে বঙ্গবন্ধু হলের লিফট ব্যবহারের সময় হঠাৎই দুটি তলার মধ্যবর্তী স্থানে একটি লিফট আটকা পড়ে যায়। এর ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে আটকা পড়ে থাকেন আট শিক্ষার্থী। 

ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের লিফট মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সর্বশেষ শুক্রবার হলের একটি লিফটে আধা ঘণ্টা ধরে আটকা ছিলেন ৮ শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, সকালে বঙ্গবন্ধু হলের লিফট ব্যবহারের সময় হঠাৎই দুটি তলার মধ্যবর্তী স্থানে একটি লিফট আটকা পড়ে যায়। এর ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে আটকা পড়ে থাকেন আট শিক্ষার্থী।

আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, লিফটের ইমার্জেন্সি বাটনে বারবার ক্লিক করার পরও কেউ রেসপন্স করছিলেন না। পরবর্তী সময়ে লিফটের দরজায় আঘাতের শব্দ শুনে একজন গিয়ে লিফট অপারেটরকে ডেকে এনে তাদের উদ্ধার করেন।

বঙ্গবন্ধু হলের লিফট নিয়ে অভিযোগ, এটিই প্রথমবার নয়। হলের চলমান চারটি লিফটের মধ্যে দুটি লিফট বন্ধ পড়ে থাকে সর্বক্ষণ। এ কারণে ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থীকে দুটি লিফটের ওপর ভরসা করেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অনেকক্ষণ ধরে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলে চারটি লিফট থাকলেও দুটি সবসময় বন্ধ থাকে। বাকি যে দুটি লিফট চালু থাকে, সেগুলোর সব সেন্সর ঠিকমতো কাজ করে না।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম। ইমার্জেন্সি বাটন রেসপন্স না করার বিষয়টি আমি জানতাম না। দ্রুত এ বিষয়ে একটি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

বঙ্গবন্ধু হলের চারটি লিফটের সবগুলো সার্বক্ষণিক সচল থাকার কথা থাকলেও রাতের বেলা তার সবগুলোই থাকত বন্ধ। গত ২১ আগস্ট হল প্রশাসন যেকোনো মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি বা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে ১টি লিফট দিবা-রাত্রি সার্বক্ষণিক সচল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

গত এক মাসের বেশি সময় ধরে একটি লিফট সারা রাত চালু থাকলেও ২টি লিফট সার্বক্ষণিকই বন্ধ থাকে।

আজকের শিক্ষার্থী আটকে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হলের লিফট নিয়ে আরও নানাবিধ অভিযোগ উঠতে থাকে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দুটি লিফট দিয়ে ওঠানামা করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অনেকটা সময়। বিশেষ করে এ সমস্যা ক্লাস চলাকালীন ও শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বেশি লক্ষ করা যায়।

তাদের ভাষ্য, মাঝে মাঝেই লিফটের দরজা নিচ তলায় বা যেকোনো ফ্লোরে গিয়ে খুলতে ও বন্ধ হতে সময় নেয়। এ ছাড়া সেন্সরজনিত সমস্যার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে লিফটের দরজা বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট কিনতে সর্বমোট ১৩ কোটি ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ ৯ জন শিক্ষক ইউরোপ ভ্রমণ করেন লিফট কেনার উদ্দেশ্যে, যার ১০ দিনের সফর খরচ মেটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়েটিভ ইঞ্জিনিয়ার্স টিম।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হলের ভবন নির্মাণের কাজ শেষে সুইজারল্যান্ড থেকে ১৩ কোটি ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৫টি লিফট ক্রয় করা হয়, যার মধ্যে ৪টি বঙ্গবন্ধু হল, ৫টি বঙ্গমাতা হল এবং বাকি ছয়টির তিনটি করে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে স্থাপন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর